শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লালমনিরহাটে তুলার চাষে লাভের মুখ দেখছে কৃষেকরা লালমনিরহাটে কর্মসৃজন কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা
লালমনিরহাটে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের নামে যতো প্রতারণা

লালমনিরহাটে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের নামে যতো প্রতারণা

★নামে মিলার, চাল দিচ্ছে সিন্ডিকেট ★লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ ★জড়িত খাদ্য বিভাগ ও চাল কল মালিক সমিতি

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

 

লালমনিরহাটে মিলারদের কাছ থেকে সরাসরি চাল কেনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সকল মিলারদের তালিকা করে পর্যায়ক্রমে তাদের কাছ থেকে চাল কেনার কথা। অথচ সিন্ডিকেটের সদস্যরা নামে চালকল মালিক/ মিলার সাজিয়ে ভুয়া তালিকা করে সরকারি গুদামে চাল বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

 

অভিযোগ, সিন্ডকেটের নেপথ্যে লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চাল কল মালিক সমিতি রয়েছেন। সিন্ডিকেট থেকে তারা মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিচ্ছেন।

 

জানা গেছে, বর্তমান প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে ২৬টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ হিসেবে ১টন চালের দাম ২৬হাজার টাকা। সরকারি ভাবে প্রতি কেজি চাল ৩৬টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এতে প্রতি ১টন চালের দাম পড়ে ৩৬হাজার টাকা। প্রতি টন চাল বিক্রি করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা ১০হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ থেকে কমিশন পাচ্ছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চাল কল মালিক সমিতি।

 

একই চিত্র পাওয়া গেছে লালমনিরহাট জেলার প্রতিটি উপজেলায়। লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিলাদের কাছ থেকে চাল ক্রয় শুরু হয়েছে গত ২৮ মে থেকে বিভিন্ন ক্রয়কেন্দ্রে (গুদাম) চাল কেনা শুরু হয়েছে। এ ক্রয় অভিযান আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এ মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৭টি খাদ্য গুদামের জন্য ১১হাজার ৬শত ৯৬মেট্টিক টন চাল ক্রয়ের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

মিলারদের নামে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে তালিকায় এমন সব মিলাদের নাম উঠেছে চাল কলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নামেমাত্র মিলার, নেই চালকল? চাল কল মালিক সমিতির সিন্ডিকেট সদস্যরা খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি গুদামে চাল বিক্রি করছে। তাও আবার তাদের নামে অন্য মিল মালিকরা চাল জমা দিচ্ছে।

 

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার মিলারদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে মর্মে জানা গেছে।

 

এসব অনিয়মের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান। এবার অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহে কোটি টাকার টার্গেট করে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন তিনি। যেন দেখার আছে, শুধু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নেই?

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone